Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই চিংড়ি চাষে ক্লাস্টার প্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই চিংড়ি চাষে  ক্লাস্টার প্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ

মোঃ শফিকুল ইসলাম
বহুভাষাবিদ পণ্ডিত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘যে দেশ তার অতীত ইতিহাস জানে না সে তার ভবিষ্যতের নবসৃষ্টির পথও খুঁজে পায় না।’ আমরা যদি আমাদের অতীত ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখা যায় অতীতে আমাদেরকে বলা হতো ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। কারণ, নদীমাতৃক বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে চলেছে বহু নদী। কালের পরিক্রমায় ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এই তকমাটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে খাল বিলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, পানি প্রবাহ কমে যাচ্ছে নদীতে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিত সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে ভূভাগের অনেক গভীর মিঠাপানি অঞ্চলেও লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দূরদর্শী নেতা হিসেবে ১৯৭২ সালে কুমিল্লার এক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘মাছ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা যদি আমাদের অর্থনীতির ভিতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম জায়গায় বেশি মাছ উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনেক সফলতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৩য় স্থান ধরে রেখে বিগত ১০ বছরে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান ধরে রেখেছে। ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১ম স্থান অর্জন করেছে। এ ছাড়া তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশে^ ৪র্থ এবং এশিয়ার মধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করেছে। অন্য দিকে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান আশানুরূপ নয়। অথচ বিগত দশ বছরের মৎস্য রপ্তানির তথ্য হতে দেখা যায় যে, আর্থিক মূল্যমানে বাংলাদেশ হতে মোট মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানিতে চিংড়ির অবদান শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ। যেহেতু চিংড়ি একটি রপ্তানিজাত পণ্য সেহেতু এ সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করা সম্ভব। বর্তমানে দেশের ২,৫৮,৬৮১ হেক্টর জলাশয়ে চিংড়ি চাষ হচ্ছে, তন্মধ্যে ১,৮৪,৮১২ হেক্টর বাগদা এবং ৭৩,৮৬০ হেক্টর জলাশয়ে গলদার চাষ হচ্ছে। আমাদের দেশে চিংড়ির চাষ পদ্ধতি মূলত সনাতন ও উন্নত সনাতন। বাগদা চিংড়ির উৎপাদন গড়ে মাত্র ৩৩৪ কেজি/হে. এবং গলদা চিংড়ির উৎপাদন ৬৯৮ কেজি/হে.। অথচ আধা নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন গড়ে ৪৪১৪ কেজি/হে.।
বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের বিরাজমান অবস্থা
সত্তরের দশকে দেশের দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষের সূচনা হয়। এই চিংড়ি চাষ পরবর্তীতে জাতীয় অথনৈতিক উন্নয়নে এক অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়। ফলে আশির দশকের গোড়ার দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন ঘের তৈরি করা হয় এবং স্থানীয় উপকূলীয় জলাশয় থেকে বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণ করে ঘেরে মজুদ করার মাধ্যমে চিংড়ি চাষের সূচনা হয়। এতে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে উপকূলীয় অঞ্চলে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে চিংড়ি চাষ উপযোগী ঘেরের আয়তন বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সম্ভাবনাময় এ খাতটির টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে তেমন কোন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়নি। এখন অধিকাংশ ঘেরে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। এসব অধিকাংশ ঘেরের অবকাঠামো খুবই দুর্বল প্রকৃতির এবং পানির গভীরতা মাত্র ১ ফুট থেকে ১.৫ ফুট। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতি বর্ষণে এসব অধিকাংশ ঘের সহজেই প্লাবিত হয়ে যায়। এ ছাড়া এসব ঘেরে কোন বায়োসিকিউরিটি না থাকার ফলে এক ঘেরের মাছ রোগাক্রান্ত হলে রোগের সংক্রমণ অন্যান্য ঘেরেও সহজে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে শুধু চিংড়ি চাষ করার ফলে ঘেরগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি চিংড়িতে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়। অপরিকল্পিত ঘেরগুলোর কারণে বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হতেও দেখা যায়। শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় অঞ্চলের ঘেরগুলোয় পানির লবণাক্ততা ৮-১২ পিপিটি হওয়ার কারণে এখানে মিষ্টি পানির মাছ চাষ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে লবণাক্ততা কমে ০-৫ পিপিটি হলে লবণাক্ত পানির মাছের (বাগদা, ভেটকি, ভাঙান, পারশে ইত্যাদি) পাশাপাশি মিষ্টি পানির মাছও (কার্প, পাবদা, গলদা ইত্যাদি) চাষ করা যায়।
বাগদা চিংড়ির উৎপাদন কম হওয়ার কারণ
উপকূলীয় অঞ্চলের বাগদা চিংড়ির উৎপাদন কম হওয়ার কারণগুলো হচ্ছে- দুর্বল অবকাঠামো; মানসম্পন্ন পোনার অভাব; খাদ্যসহ চাষের বিভিন্ন উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি; সনাতন পদ্ধতির চাষ পদ্ধতি; চাষির পুঁজির অভাব; কারিগরি জ্ঞানের অভাব; আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সীমাবদ্ধতা; ভাইরাসসহ বিভিন্ন কারণে চিংড়ি মারা যাওয়া।
চিংড়ির টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় করণীয়
উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকা আবর্তিত হয় চিংড়িকে কেন্দ্র করে। এখানে চিংড়ি চাষির পাশাপাশি অনেকে রয়েছেন চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী এবং চিংড়ি ক্রেতা ও বিক্রেতা। চিংড়ির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এবং দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখার জন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে চিংড়ির টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধি করা একান্ত আবশ্যক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা করছি।
ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ
ক্লাস্টার হলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত খামার সমষ্টি যা সাধারণত একই অঞ্চল ও পরিবেশে খুব কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত হয়। ক্লাস্টার পদ্ধতিতে খামারগুলোর মধ্যে বৈশিষ্ট্য থাকা অপরিহার্য। যেমন: একই ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ বা অবকাঠামোর ব্যবহার, (যেমন- পানির উৎস, বর্জ্য নির্গমন ব্যবস্থা ইত্যাদি);  একই বা কাছাকাছি চিংড়ি চাষ পদ্ধতির অনুসরণ; একই প্রজাতির মাছ বা চিংড়ি চাষ বা মিশ্রচাষ করা; উদ্যোগী বা সম-স¦ার্থ সংশ্লিষ্ট দল হতে হবে।
চিংড়ি ক্লাস্টার এমন একটি সংগঠন যা একটি নির্দিষ্ট এলাকার চিংড়ি চাষিদের নিয়ে গঠিত হয় এবং সদস্যগণ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য  ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমন্বিত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করে।
ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে সুবিধা
 চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং নিরাপদ চিংড়ি উৎপাদন করা সহজ হয়। বর্তমান চাষ পদ্ধতিতে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা থেকে সম্মিলিতভাবে উত্তরণের  উপায় বের করা যায়। চিংড়ি চাষে পানির  উৎস ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ সহজতর ও সাশ্রয়ী হয়। কারিগরি সহায়তা প্রাপ্তি অনেক সহজ হয়। জৈব নিরাপত্তা প্রতিপালনের মাধ্যমে রোগবালাই প্রতিরোধ করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। সম্মিলিতভাবে গুনগত মানসম্পন্ন উৎপাদন সামগ্রী সংগ্রহ করা যায় এবং উৎপাদন খরচ কমানো যায়। উৎপাদিত পণ্যের গুণমান নিশ্চিতকরণ সহজতর হয়। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে অধিক সুবিধার পাশাপাশি যথার্থ মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। ক্লাস্টার ফার্মিং এর  আওতায় সংগঠিত চাষি দলের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ বা অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তি অনেক সহজ হয়। ক্লাস্টারভিত্তিক সার্টিফিকেশনের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে পণ্যের বর্ধিত মূল্য নিশ্চিত হয়।  চাষির আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। প্রতিটি ক্লাস্টার এক একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠে। ফলে সামাজিক সম্প্রতি বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা
চিংড়ি সেক্টর অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। এই খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ না করে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট জায়গায়     পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ করতে হবে। এর ফলে একদিকে যেমন নিরাপদ চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, অন্য দিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোও মোকাবিলা করা সহজ হবে।
বিছিন্নভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠন ক্লাস্টার ফার্ম নিয়ে কাজ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তরের এসটিডিএফ (এফএও এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় এবং ওয়ার্ল্ড ফিস ও বাংলাদেশ শ্রিম্প ও ফিস ফাউন্ডেশনের সহায়তায়) প্রকল্পের মাধ্যমে।  প্রকল্পটি ২০১৩-১৪ হতে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত ২ বছরে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলাতে ৪০টি ক্লাস্টার স্থাপন করে। তন্মধ্যে সফল ক্লাস্টারসমূহে ৭০% পর্যন্ত অধিক উৎপাদন পরিলক্ষিত হয়।
ক্লাস্টার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ
ভৌগোলিক অবস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পারিপাশির্^কতা বিবেচনা করে উপকূলীয় অঞ্চলের লাগসই প্রযুক্তি হিসেবে ক্লাস্টারভিত্তিক মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত চ্যালেঞ্চসমূহ আমাদের সামনে আসতে পারে। যেমন: সঠিকভাবে ক্লাস্টার নির্বাচন করা। কারণ উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ ঘেরগুলোর আয়তন অনেক বড় যেগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করাও অত্যন্ত কঠিন; ক্লাস্টারে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। কারণ অধিকাংশ পানি সরবরাহে খালগুলোয় পলি জমে ভরাট হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া অনেক খাল বিভিন্ন জায়গায় প্রভাবশালীদের দ্বারা দখল হয়ে গিয়েছে; ক্লাস্টারের অধিকাংশ ঘের লিজকৃত হওয়ার কারণে ঘেরের গভীরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া চাষিদের পুঁজির অভাব হয়ে থাকে।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্লাস্টার বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষ শুরু করতে পারলে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এ খাতটিকে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তিতে চিংড়ি চাষ করতে পারলে চিংড়ির টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধি যেমন সম্ভব হবে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

লেখক : সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা। মোবাইল : ০১৭১৭-৭০৯৬০০


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon